History of Bangladesh Photographic Society (BPS)
বিপিএস গঠনের সংক্ষিপ্ত ঐতিহাসিক পটভূমি ও প্রণীত গঠনতন্ত্রের উপক্রমনিকা
যেদিন থেকে মানুষ নিজেদের প্রয়োজনে যুথবদ্ধ হতে শিখেছে, সেদিন থেকেই মানব সমাজে প্রগতির সুত্রপাত। বহু ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে সেই ধারাবাহিকতায় আজকের আধুনিক সমাজ তথা রাষ্ট্র ব্যবস্থা। আদিম যুগের দলবদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিধিবদ্ধ নিয়ম যেমন ছিল; তেমনি একজন দলপতিও থাকতো। যার চেতনা প্রসুত নির্দেশনায় দল পরিচালিত হতো।
কোনো কিছুতে সফলতা অর্জনের জন্য সংগঠিত হওয়ার ব্যাপারটি অপরিহার্য। সংগঠন কাঠামোর স্থায়িত্ব, সুষ্ঠু পরিচালনার স্বার্থে প্রয়োজন কিছু বিধিবদ্ধ নিয়ম এবং উৎসর্গীকৃত সুশৃঙ্খল কর্মীবাহিনী । সর্বজন বিদিত এ প্রসংগের অবতারণা এ কারণেই যে, সমগ্রের কল্যানমুখী যে কোনো উদ্যোগও ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে পারে ব্যক্তির নিজেকে প্রকাশিত করার উদগ্র বাসনায়। কিন্তু আখেরে জয় জনতার; যদি জনতাকে সচেতন জনশক্তিতে রূপান্তরিত করা যায়। সমাজের মধ্য থেকেই আবির্ভাব ঘটে কোনো যুগ পুরুষের, যিনি প্রজ্ঞবান, যাঁর রয়েছে সমস্যা চিহ্নিতকরণ ক্ষমতা, সমাধানের পথ বাতলে দেয়ার যোগ্যতা। তিনিই সাধারণত কাণ্ডারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন; সংকটাপন্ন তরীটিকে লক্ষ্যের দিকে নিয়ে যেতে।
আলোকচিত্রণ বিষয়ক ধারণা, যা সাধারণের কাছে উন্মুক্ত হয় ১৮৩৯ খ্রিস্টাব্দের ১৮ আগষ্ট। ভারতীয় উপমহাদেশে আলোকচিত্রণের ব্যবহার ও চর্চার শুরু ‘৩৯ এর অব্যবহিত পরেই। অল্পস্বল্প পেশাজীবি, চর্চাকারী সৌখিনেরও আগমন ঘটতে লাগল বিজ্ঞানের সদ্য প্রসুত এ যুগান্তকারী আবিষ্কার- আলোকচিত্রণের অনুশীলনে। আজ আলোকচিত্রণের প্রায়োগিক ব্যাপকতা সর্বত্র। অথচ তদানীন্তন পূর্ববাংলা- আজকের বাংলাদেশ অংশে আলোকচিত্রণ চর্চা সীমাবদ্ধ ছিল সীমিত সংখ্যক বিত্তশালীর বিনোদনের সামগ্রী হিসেবে। ১৯৫০-৬০’র দশকে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে জেলা, মহকুমা স্তরে কিছু আলোকচিত্রণ পেশাজীবির সৃষ্টি হয়, যাঁরা আলোকচিত্রণকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করে স্বাধীনভাবে ব্যবসা চালাতেন। আরো কিছু আলোকচিত্রী নিয়মিত চাকুরীজীবি হিসেবে সরকারী মন্ত্রণালয়, বিভাগ, স্বায়ত্বশাসিত সংস্থাসমূহে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। অপ্রিয় হলেও তাঁদের সংখ্যাগরিষ্ঠ আলোকচিত্রণ সম্পর্কে সম্যক ধারণার অধিকারী ছিলেন বা ব্যবহারিক ব্যাপকতা নিয়ে অবগত ছিলেন মনে করলে সত্যের অপলাপ হবে। এটা সত্যি তখন সত্যিকারের সুযোগও সৃষ্টি হয়নি। তাঁদের একটাই অবলম্বন- সেটা এ পেশার প্রতি দুর্মর আকর্ষণ এবং অকৃত্রিম ভালোবাসা। কিন্তু এ অবস্থার বিপরীতে স্বল্প সংখ্যক পদ্ধতিগতভাবে প্রশিক্ষিত, মেধাবী, প্রজ্ঞাবান আলোকচিত্রীও ছিলেন। তথাপি আলোকচিত্রণ পেশা হিসেবে মর্যাদাবান, স্বচ্ছলতা অর্জনের একটি উৎকৃষ্ট মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হতো না । নিছক কারিগরী কলাকৌশল নির্ভর একটি কাজ হিসেবে বিবেচিত হতো । কারণ সাধারণের কাছে আলোকচিত্রণের তাত্বিক, নান্দনিক অধিকন্তু প্রায়োগিক ব্যাপকতা নিয়েও অজ্ঞতা ছিল । আলোকচিত্রণের আবিষ্কার পরবর্তী একশত বছর পরেও পেশাজীবিদের কাছে এমন হতাশাব্যঞ্জক পরিস্থিতিতে প্রশিক্ষিত আলোকচিত্রীদের মধ্য থেকে কেউ কেউ আলোকচিত্ৰণকে উন্নত দেশের আলোকচিত্রীদের মতো মর্যাদাবান পেশাজীবি হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য করণীয় সম্পর্কে চিন্তাভাবনা শুরু করেন। এ ক্ষেত্রে ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দ থেকে এ অবস্থা থেকে উত্তরণের সংকল্প নিয়ে যিনি পথ অন্বেষণে ব্রতী হয়েছিলেন- তিনি আলোকচিত্রাচার্য এম এ বেগ। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক জ্ঞানসমৃদ্ধ, প্রশিক্ষিত আলোকচিত্রী তৈরীর মাধ্যমেই শুধু এ সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব, এবং এ ব্যাপারে আন্দোলন গড়ে তোলার প্রয়োজনে চাই পেশাজীবিদের জাতীয় ভিত্তিক একটি সংগঠন। যার ফলশ্রুতিতে তাঁর সচেতন আলোকচিত্রণ সহযোগীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ডিসেম্বর ১৫, ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দ বেগার্ট’র ১৫ বছর পুর্তি উৎসবে একটি অস্থায়ী কমিটি গঠনের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে ‘বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটি (বিপিএস)’। অস্থায়ী কমিটির আহ্বায়ক মনোনীত হন জনাব এম এ বেগ, এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত হন গঠনতন্ত্র প্রনয়ণের। এরই ধারাবাহিকতায় বিপিএস অস্থায়ী কমিটি প্রস্তাবিত গঠনতন্ত্র পেশ করেন মে ৩০, ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে। যা সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। এ গঠনতন্ত্রে স্বাক্ষরকারী ছিলেন ১২ জন সদস্য। প্রসংগত উল্লেখ্য ‘বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটি (বিপিএস)’ নামকরণকারী সদস্য স্বনামধন্য আলোকচিত্রী জনাব মোঃ মাকসুদুল বারী এবং মনেগ্রাম ডিজাইনকারী প্রখ্যাত কার্টুনিষ্ট জনাব নজরুল ইসলাম। মে ৩০, ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দেই সোসাইটির প্রথম নির্বাহী পরিষদ গঠিত হয় ১১ সদস্যের সমন্বয়ে, যার প্রথম সভাপতি জনাব আব্দুল্লাহ্ হারুন পাশা এবং সাধারণ সম্পাদক জনাব মনজুর আলম বেগ।
সোসাইটি যখন নিয়মিত কর্মসূচী নিয়ে যাত্রা করলো, তখন দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক সব ক্ষেত্রেই চরম অস্থিরতা। এত প্রতিকুলতার মধ্যে সোসাইটি সদস্যদের আন্তরিকতায় গৃহীত কর্মসূচীগুলো সাফল্যের সাথে বাস্তবায়িত হতে থাকলো। বাংলাদেশের বৃহত্তর জেলাগুলোতেও আলোকচিত্রণ উন্নয়ন আন্দোলনের সম্প্রসারণ বা ঢেউ এসে লাগলো । এ ধারাবাহিকতায় সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা আলোকচিত্রণকে ভালোবাসেন এমন ব্যক্তিবর্গ, সৌখিন ও পেশাজীবিদের সমন্বয়ে গঠিত জেলা কমিটির প্রতিনিধিদের নিয়ে জাতীয়ভাবে আন্দোলনকে পরিচালনার স্বার্থে বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দে ঘোষণা করা হয় জাতীয় আলোকচিত্রণ ফেডারেশন হিসেবে। বিভিন্ন প্রতিকুলতার কারণে বিপিএস ঘোষণা মোতাবেক ফেডারেশন হিসেবে দায়িত্ব পালনে সমর্থ হয়নি। অসমর্থতার প্রভাব সোসাইটির নিজস্ব কর্মকাণ্ডকেও প্রভাবিত করেছে। সোসাইটির নিজস্ব কার্যালয়ের অভাব, আর্থিক অসচ্ছলতা অন্যতম কারণ। নির্বাহী পরিষদ নিয়মিতভাবে পরিবর্তিত হয়েছে কখনো জ্যেষ্ঠ আলোকচিত্রীদের মনোনয়নে বা দুই/তিন বার নির্বাচনে। কিন্তু অদৃশ্য কারণে উন্নয়নের কিছুই হয়নি । ইতোমধ্যে স্থানীয়, জাতীয়ভাবে বিভাজন’র মধ্যে গঠিত হয়েছে অনেক আলোকচিত্রণ সংগঠন। যা জাতীয় আলোকচিত্রণ আন্দোলনকে ব্যাহত করেছে। বিপিএস যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। ১৯৯০ দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে আসা নির্বাহী পরিষদগুলোর কোনো কোনোটি আশার বাণী শুনিয়ে সদস্যদেরঅনুপ্রাণিত করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপের ঘোষণা দিলেও বেশীর ভাগই সফলতার মুখ দেখেনি। প্রতিটি আশ্বাস ‘বহ্বারম্ভে লঘুক্রিয়ায়’ পর্যবসিত হয়েছে। যোগ্য এবং দুরদর্শী নেতৃত্বের অভাবে সোসাইটির সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড হয়ে পড়ে স্থবির । যে প্রগতিশীল চেতনার ভিত্তিতে সোসাইটি গঠিত হয়েছিল তা থেকে যোজন যোজন দূরত্বে সরে পড়ে তদানীন্তন নির্বাহী পরিষদ নেতৃত্ব। পুর্বসুরীদের এ বলে দায়ী করা যায় যে, তাঁরা যোগ্য উত্তরসুরী তৈরিতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। যোগ্য নেতৃত্ব যেমন গড়ে উঠেনি ঠিক তেমনি সোসাইটির আদর্শ, উদ্দেশ্য-বিচ্যুত নেতৃত্ব সোসাইটির পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে। ফলশ্রুতিতে এদেশের আলোকচিত্রণ আন্দোলন দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়েছে। এ দেশে আলোকচিত্রণ আন্দোলনের স্বপ্নদ্রষ্টা আলোকচিত্রাচার্যের লক্ষ্য ছিল আলোকচিত্রণের সাথে সম্পর্কিত বা প্রত্যক্ষ, পরোক্ষভাবে জড়িত সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে রাষ্ট্রের তথা সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় স্বীকৃত ব্যবস্থা গ্রহণ। তিনি ছিলেন সমগ্রের কল্যাণে বিশ্বাসী; স্বতন্ত্রে নয়। সংগঠনের প্রয়োজনে গঠনতন্ত্রের মৌলিক আদর্শ, উদ্দেশ্য সঠিক রেখে যুগোপযোগী করে পরিচালনার স্বার্থে গঠনতন্ত্র সংশোধনের প্রয়োজন হয় । তাতে সোসাইটির বার্ষিক বা বিশেষ সাধারণ সভার সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন আদায়পুর্বক অনুমোদনও নিতে হয়। কিন্তু অতীতে গঠনতন্ত্র সংশোধনের ব্যাপারে নির্বাহী পরিষদগুলো পদক্ষেপ নিলেও বার্ষিক বা বিশেষ সাধারণ সভার অনুমোদন লাভের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি । তথাপি মূল গঠনতন্ত্র ঠিক রেখে আংশিক পরিবর্তিত (অননুমোদিত) গঠনতন্ত্রের ভিত্তিতেই সোসাইটি পরিচালিত হয়ে এসেছে এ ধরনের অনিয়মের কারণে এবং পদ সংখ্যা সংক্রান্ত জটিলতা ইত্যাদির অজুহাতে যথাসময়ে নির্বাহী পরিষদের নির্বাচন হয়নি। পরিচালনার জন্য অর্থ সংকট আগাগোড়াই বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা। বিশ্বায়ন, মুক্তবাজার অর্থনীতির ঢেউ এক ধরনের কৃত্রিম ব্যস্ততা ও অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। যে কারণে তরুণ সমাজে ত্যাগের মানসিকতার বিপরীতে ভোগের স্পৃহা প্রকটভাবে দৃশ্যমান। এ হেন বিভিন্ন সমস্যায় আক্রান্ত সোসাইটি দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়েছে । ক্রমান্বয়ে অস্তিত্ব সংকটের মত অবস্থার সৃষ্টি হয় ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে । যার ধারাবাহিকতা অদ্যাবধি বিদ্যমান ৷
২০০৫ খ্রিস্টাব্দে সৃষ্ট অচলাবস্থা নিরসনকল্পে সোসাইটির জ্যেষ্ঠ সদস্যদের উদ্যোগে ২০০৯ খ্রিস্টাব্দের ১১ ডিসেম্বর সোসাইটিকে পুনর্গঠন এবং সক্রিয় করার লক্ষ্যে একটি ভারপ্রাপ্ত/অস্থায়ী নির্বাহী পরিষদ মনোনীত করা হয়, যার ব্যবস্থাপনায় সোসাইটির অদ্যাবধি নিয়মিত কার্যক্রমগুলো পরিচালিত হয়ে আসছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বর্তমান নির্বাহী পরিষদ নতুন পরিষদ নির্বাচনের নিমিত্তে এবং বিপিএস গঠনতন্ত্রকে যুগোপযোগী করার মানসে জনাব রফিকুল ইসলামকে আহ্বায়ক এবং জনাব কে এম জাহাঙ্গীর আলমকে সমন্বয়ক মনোনীত করে ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি ‘গঠনতন্ত্র সাব কমিটি’ গঠন করে ২০১৫ খ্রিস্টাব্দের ১৩ ফেব্রুয়ারি তারিখে। ১১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে উপকমিটি সংশোধিত গঠনতন্ত্রের প্রস্তাবিত অনুলিপি সাধারণ সভায় উপস্থাপন ও অনুমোদনের জন্য কার্য নির্বাহী পরিষদকে প্রদান করে । ১৭ মে ২০১৯ তারিখে অনুষ্ঠিত বিশেষ সাধারণ সভায় গঠনতন্ত্রটি সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়।
যে আদর্শ ও উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটি (বিপিএস) যাত্রা শুরু করেছিল- একটি গণমুখী জাতীয় আলোকচিত্রণ আন্দোলনের অঙ্গীকার নিয়ে তা পরোপুরি অর্জিত হয়নি, অর্জন করতে পারেনি রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় রাষ্ট্র স্বীকৃত আলোকচিত্রণ শিক্ষা কার্যক্রম প্রতিষ্ঠা তথা বিপিআইকে সরকার স্বীকৃত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর এবং ফেডারেশন হিসেবে আলোকচিত্রণের উন্নয়নে রাষ্ট্রের সহায়কের ভূমিকায় সংগঠনকে নিয়োজিত করতে।
হয়নি-হবেনা এমন হতাশায় নিমজ্জিত কোনো তরুণ আলোকচিত্রণ উন্নয়ন, আন্দোলন কর্মী নির্মীলিত নয়নে থেমে থাকতে পারে না । তারুণ্যের ধর্মই হচ্ছে স্রোতের বিপরীতে সাঁতার কাটা। দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি- থেমে থাকবে না বিপিএস’র অগুনতি ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আলোকচিত্রী সুহৃদ আন্দোলন কর্মীও। প্রত্যাশা করি তরুণ প্রজন্মের কেউ না কেউ দুঃসময়ে হাল ধরবে এ তরণীর। অবতীর্ণ হবে কাণ্ডারীর ভূমিকায়- আলোকচিত্রাচার্যের প্রদর্শিত পথে । যাঁর সারা জীবনের বিশ্বাস একমাত্র রাষ্ট্রই পারে জনকল্যাণমুখী কোনো উদ্যোগকে বাস্তবায়ন করতে, ব্যক্তি নয় । বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটি চিরজীবি হোক ।
দেব্রত চৌধুরী
সদস্য, গঠনতন্ত্র সাব কমিটি, বিপিএস।